হাজারের বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পৌঁছেছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে ট্রেনটি কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে পৌঁছে। ট্রেনটি কক্সবাজারে পৌঁছলে যাত্রীদের স্বাগত জানান স্টেশনের কর্মকর্তা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। এছাড়া কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল-মোটেলের প্রতিনিধিরাও যাত্রীদের স্বাগত জানান।
এর আগে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ১ হাজার ২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়ে ট্রেনটি। রাত ১০টার আগেই সমুদ্রপিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে কমলাপুর রেলস্টেশন। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, ‘ঢাকায় ফেরা ও কক্সবাজারগামী যাত্রীদের বরণ করে নিতে এ দিন ছিল নানা আয়োজন। যাত্রার প্রথম দিনেই মিলেছে ব্যাপক সাড়া। নিরাপত্তায় ছিল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।’ যাত্রীর চাহিদা বেশি থাকায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সেবার মান আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু সময় পর সমুদ্র শহর কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। কক্সবাজারের স্টেশনমাস্টার ফরহাদ বিন চৌধুরি জানান, পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ না হলেও বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত আইকনিক রেলস্টেশন। আপাতত দুটি ট্রেন যাতায়াত করবে এই রুটে।
গত ১১ নভেম্বর এই রুটের ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি এই রুটে আপাতত দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন। প্রতিদিন একটি ট্রেন সকালে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকা থেকে ফিরতি যাত্রা করবে রাতে।
ট্রেনটিতে ঢাকা থেকে কক্সবাজার শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।