ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৬ বছরের শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রসায় পড়ালেখা করে। গত বুধবার (২০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে শিশুটি তার সহপাঠীর বাড়িতে যায়। পরে বাসায় ফেরার পথে অভিযুক্ত ওই মুদি ব্যবসায়ী আনহার মিয়া চকলেটের প্রলোভন দিয়ে শিশুটিকে তার দোকানে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে সেখানে ফাঁকা ঘরে শিশুটিকে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর পরিবার বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর সহায়তায় লম্পট আনহার মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আনহার মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আমি বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার চাই।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় আনহার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট শিশুর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন এবং শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।