ময়মনসিংহ সদরে মৌসুমী আক্তারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী সুজন হাসানকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রাখেন পুলিশ কনস্টেবল সুজন হাসান।
গ্রেফতার সুজন হাসান জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার সৈয়দগ্রামের এছাহাক আলীর ছেলে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে কর্মরত।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এরআগে ভোরের দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সুজন হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার নথির বরাত দিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিরুপম নাগ জাগো নিউজকে বলেন, নিহত মৌসুমী আক্তার (২৫) জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার চরকালী বাজাইল গ্রামের আমান উল্লাহর মেয়ে। ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে পুলিশ কনস্টেবল সুজন হাসানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুজন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিলেন।
এসব নিয়ে তাদের পরিবারে কলহ লেগেই থাকতো। যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করায় ২০১৯ সালে মৌসুমী আক্তার তার স্বামীর নামে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় সুজন হাসান দুইমাস জেল খাটেন।
নিরুপম নাগ আরও বলেন, ঘটনার দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুজন হাসান তার শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রী মৌসুমীকে সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের গোষ্টা পশ্চিমপাড়া নলকুড়িয়া বিলের ধানক্ষেতে নিয়ে আসেন। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সেখানেই ফেলে রেখে চলে যান।
পরদিন সকালে ধানক্ষেতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার নিহতের বড় বোন আয়েশা আক্তার ওরফে শাহনাজ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে সুজন হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সুজন হাসানকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান এসআই নিরুপম নাগ।