বরগুনার বেতাগী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সর্বত্র এখন ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার রাত ১১টার পরই উপজেলা জুড়ে এ ডাকত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা, রাস্তাঘাট ও গ্রামে গ্রামে ডাকাতদের প্রতিহত করতে এলাকার শত শত লোক দলবদ্ধ হয়ে পাহারা দিচ্ছেন। এ কাজে বেতাগী থানা পুলিশ এলাকাবাসীদের সচেতন থাকতে বলেছেন। একইসঙ্গে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহল চলছে। তাতেও বন্ধ হয়নি ডাকাত আতঙ্ক। উপজেলার প্রত্যেকটি মসজিদে একের পর এক মাইকিংসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের কারণে আতঙ্কে সময় কাটছে উপজেলাবাসীর।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বেতাগী পৌর শহর, মোকামিয়া,হোসনাবাদ, বুড়ামজুমদার ও সরিষামুড়ি ইউনিয়ন বিষখালী নদীর পার্শ্ববর্তী হওয়ায় এসব এলাকায় এখন ডাকাত আতঙ্ক বেশি বিরাজ করছে। এছাড়াও বেতাগী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডেও ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হলেও আতঙ্ক কমছে না। এ কারণে এলাকার শত শত লোক রাতভর টেঁটা, বল্লম, রড ও লাঠিসোটা হাতে নিয়ে এলাকা ডাকাতমুক্ত রাখতে পাহারা দিচ্ছে।
উপজেলার মোকামিয়া ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ ও সিদ্দিক বলেন, রাত ১১টার পরপরই মাইকিং শুরু হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সবার মধ্যে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতন থাকার সংবাদ শুনতে পেয়ে এলাকাবাসী একজোট হয়ে ডাকাতদের প্রতিহত করতে মহল্লায় পাহারা শুরু করেছি।
বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান জানান, উপজেলা জুড়ে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে বিষখালী নদীর পাশে এলাকাবাসী ডাকাত প্রবেশ করতে দেখেছে। এরপরই মাইকিংসহ সবাইকে সচেতন হতে বলা হয়েছে। এছাড়াও শীতকালে এই উপজেলায় ডাকাতির সম্ভাবনা থাকে। বেতাগী থানার ওসি মো.শাহ আলম জানান,ডাকাত প্রবেশ করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের টহল চলছে। সকলকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। সন্দেহজনক কাউকে মনে হলে গ্রেফতার করা হবে।