মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজলের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে মক্কা ও মদিনায় অনেক এলাকায় বাড়ি ও হোটেল ভেঙ্গে ফেলায় বাড়িভাড়া ব্যয় এ বছর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক নানা কারণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে রিয়ালের মূল্য অনেক বেড়েছে। এছাড়া মিনায়- আরাফায় তাঁবু ভাড়াসহ মেয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সকল কারণে সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজের ব্যয় আর কমানো সম্ভব হয়নি।
‘অধিক সুযোগ-সুবিধা আশা করেন—এমন হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি মাধ্যমে বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।’
সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি টাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হজ করা ঠিক হচ্ছে কি না জানতে চান ঢাকা-১৯ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম। জবাবে মন্ত্রী বলেন, হজ যাত্রীদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হজের উদ্দেশে পাঠানো হয় না। হজ ব্যবস্থাপনা ও হাজিদের সেবা প্রদানে বিভিন্ন টিমে তাদের পাঠানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা ও হাজিদের সেবা প্রদানের দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন টিমে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সৌদি আরবে পাঠানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশি হাজিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্দেশে মেডিকেল সেন্টার ও ক্লিনিক পরিচালিত হয়। মিনা-আরাফা, মুজদালিফা-জামারা এবং মক্কা ও মদিনায় হাজিদের সেবার উদ্দেশে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের (হজ প্রতিনিধি টিম, হজ প্রশাসনিক টিম, হজ মেডিকেল টিম, হজ কারিগরি টিম এবং হজ প্রশাসনিক সহায়তাকারী) বিভিন্ন টিমে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সরকারি টাকায় হজ করতে তাদের পাঠানো হয় না।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বয়স্ক হাজিদের চিকিৎসা সেবাসহ সবক্ষেত্রে টিমের সদস্যরা হাজিদের যথাযথ খেদমত করে থাকেন। দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়।