বৈঠকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সৌদি স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী দুই দেশের পক্ষে ‘নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি’ ও ‘রোড টু মক্কা সার্ভিস চুক্তি’ নামে পৃথক দুটি চুক্তি সই করেন। পরের চুক্তিটির ফলে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজযাত্রা আরও সহজ হবে।
এই চুক্তির ফলে হজযাত্রীরা বাংলাদেশেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে সরাসরি সৌদি আরবে তাদের নিজ নিজ অবস্থানে যেতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সৌদি বিমানবন্দরে দ্বিতীয় দফায় কোনো ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করতে হবে না। এতে হজযাত্রীদের ওমরাহ ও হজ পালন অনেক সহজ হবে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়, ভিসা সহজীকরণ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, মানবপাচার ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং হজ ও ওমরাহ পদ্ধতি সহজীকরণ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ গভীর সম্পর্কের বিষয়টি স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি দুই দেশের মধ্যে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সামঞ্জস্যের কথা উল্লেখ করেন। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সৌদি স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে উভয় দেশের সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। জবাবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক একটি চুক্তির প্রস্তাব দেন। দুই দেশ এতে সম্মত হয়।
বৈঠকে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ট্রাভেল ডকুমেন্ট হালনাগাদ করার বিষয়েও আলোচনা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সৌদি সরকার ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সৌদি প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।