প্রথমবারের মতো ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক হকি টুর্নামেন্টে ‘হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’র শিরোপা জিতেছে একমি চট্টগ্রাম। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে সাকিবের মোনার্ক মার্ট পদ্মাকে ট্রাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে ওয়াসিম আহমেদের শিষ্যরা। এর আগে, নির্ধারিত সময়ের খেলা ছিল ২-২ গোলে সমতায়।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে গোল করে এগিয়ে যায় মোনার্ক পদ্মা। দলকে এগিয়ে দেন জাপানিজ মিয়া তানিমিতসু। ম্যাচে ফিরতে আক্রমণে ধার বাড়ায় একমি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে একবার লক্ষ্যভেদও করে কিন্তু গোল বাতিল করে দেন টিভি আম্পায়ার ইয়ংসু কিম। তবে ৪২ মিনিটে আর চট্টগ্রামকে রুখতে পারেনি পদ্মা। ডি-বক্সে কেলারম্যানের পাস থেকে জোরালো হিটে পদ্মা গোলরক্ষককে হার মানান আরশাদ হোসেন।
অবশ্য তিন মিনিট বাদে আবারো এগিয়ে যায় মোনার্ক। একমির বক্সে থাকা ভারতীয় সাইফ খানকে বল বাড়াতে চেয়েছিলেন কৃষ্ণ কুমার। কিন্তু তাঁর শট প্রতিপক্ষের মেহেদী হাসানের স্টিক ছুঁয়ে জড়িয়ে যায় জালে। মোনার্ক যখন শিরোপা জয়ের প্রহর গুনছে ঠিক তখনি ম্যাচে ফিরে আসে একমি। ৫৯ মিনিটে আবারো একমির ত্রাতা হয়ে আসেন আরশাদ হোসেন।
শেষ মিনিটেও হয়েছে নাটক। পিসি থেকে বল জালে জড়িয়েছিলেন একমির ডাচ খেলোয়াড় কেলারম্যান। তবে বল পায়ের লাগায় সেই গোল বাতিল করেন মালয়েশিয়ান আম্পায়ার মো. রোহিজান। বাঁশি বাজান আরেকটি পিসির। পিসির সিদ্ধান্ত বাতিল করে পেনাল্টি স্ট্রোকের দাবিতে ৮ মিনিট খেলা বন্ধ রাখেন একমির খেলোয়াড়েরা।
খেলায় ফিরে শেষ ১০ সেকেন্ডে পিসি পায় পদ্মা। তবে সেই সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি রাসেল মাহমুদরা। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। দুই দলই প্রথম তিনটি হিট গোলে পরিণত করে। একমি চতুর্থ হিট লক্ষ্যভেদ করলেও মোনার্কের নাঈম উদ্দিন ব্যর্থ হন। এরপর পঞ্চম হিটে মোনার্কের কৃষ্ণা কুমারের হিট আটকে দেন একমির গোলরক্ষক সজীবুর রহমান। এতেই প্রথমবার হওয়া ফ্রাঞ্চ্যাইজি হকি লিগের শিরোপা জেতার আনন্দে ভাসে একমি চট্টগ্রাম। আসরে ১৮ গোল করে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন একমির ভারতীয় ফরোয়ার্ড দেভিন্দার বালমিকি।