মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে গুলিস্তান-মৎসভবন সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় ঈদগাহের গেটে কদম ফোয়ারা এলাকায় অবস্থান নিতে গেলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এতে এই সড়কে কিছুক্ষণ যানচলাচল বন্ধ থাকে।
এদিকে সপ্তম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে প্রেসক্লাব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রেসক্লাব এলাকায় দেখা যায়, গত কয়েকদিনের মতো আজ সকাল থেকে শিক্ষকদের স্লোগানে উত্তাল প্রেসক্লাব এলাকা। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে জাতীয় ঈদগাহের গেট পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। পুলিশ তাদের প্রেসক্লাব সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
তারা আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়। তাছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয় এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
তিনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বছরের পর বছর উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতীকী অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, কর্মবিরতিসহ প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বারবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এবার জাতীয়করণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।