উত্তর কোরিয়া জাপানকে জানিয়েছে যে, তারা ৩১ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে স্যাটেলাইটের নাম করে উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করবে কিনা, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
জাপানের কোস্ট গার্ডের এক মুখপাত্র এএফপিকে উত্তর কোরিয়ার জাপানকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি জানানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটাকে স্যাটেলাইট বলা হলেও উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে সেটা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশনের লঙ্ঘন হবে।’
২০১২ ও ২০১৬ সালে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা বলে ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। দুটিই জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের ওকিনাওয়া এলাকার উপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিল।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন চলতি মাসে দেশটিতে তৈরি প্রথম সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ”পরবর্তী কার্যক্রম’ পরিচালনার সবুজ সংকেত দেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দূরপাল্লার রকেট ও স্পেস লঞ্চারে একই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। তাই অর্বিটে স্যাটেলাইট পাঠানোর দক্ষতা অর্জন করতে পারলে পিয়ংইয়ং সেই দক্ষতা ব্যবহার করে গোপনে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল আইসিবিএম পরীক্ষা করতে পারবে।
জাপানের এলাকায় পড়তে পারে এমন কোনো ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলো ভূপতিত করার নির্দেশ জারি করেছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়ার ‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে। তবে জাপানের মতো তাদেরকেও উত্তর কোরিয়া এই বিষয়ে আগে থেকে জানিয়েছে কিনা, সেটি এএফপিকে নিশ্চিত করে জানাননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।