বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ এখন ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছে। দেশে ‘৬৯ এর ন্যায় গণঅভ্যুথানের পরিস্থিতি বিরাজমান। আমাদের আবারও অধিকারহারা বঞ্চিত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে বেরিয়ে আসতে হবে। ভাঙতে হবে স্বৈরাচারের দুঃশাসনের শৃঙ্খল। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক তাৎপর্যময় ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এ দিনে ছাত্র-জনতার দৃঢ় ঐক্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনকে গণঅভ্যূত্থানে রূপান্তরিত করেছিল। ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল পশ্চিমা শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে রাজপথে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের জনগণের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন ‘৬৯ এর এ দিনে গণঅভ্যুথানে পরিণতি লাভ করে।
তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের এ সংগ্রাম ছিল বিশ্বের সকল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা। ‘৬৯ এ স্বৈরশাসনের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-স্বাধীকারের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতাপ্রাপ্তির প্রায় অর্ধশতাব্দি অতিক্রান্ত হলেও দেশীয় কর্তৃত্ববাদী বর্তমান স্বৈরাচার ঔপনিবেশিক প্রভুদের মতো দুঃশাসন চালিয়ে জনগণকে ক্ষতবিক্ষত করছে। বর্তমানে জনগণের নেই কোনো নাগরিক স্বাধীনতা, মানবিক মর্যাদা ও নির্ভয়ে কথা বলার অধিকার। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে গৃহে ফিরে যাবার নিশ্চয়তাটুকুও আজ নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় গণঅভ্যূত্থান দিবস আমাদের প্রেরণার উৎস। আমি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।