স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ১ম স্থান অর্জন করলেও শব্দ দূষণ, পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের তলানির সারির দেশের কাতারেই আছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের অনেক অর্জন জমা হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু দূষণে বাংলাদেশ এই অবস্থায় থাকতে পারে না।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ আয়োজিত গবেষণা কাজে নিয়োজিত ৬৩ কর্মকর্তাকে অ্যাওয়ার্ড দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে মজবুত একটি দেশ। অথচ দেশের এই সুন্দর সময়ে এসে মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটানো যাবে না সেটি হতে পারে না। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গবেষণা খাতে জোর দিতে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এই গবেষণার কাজকে খুবই তাৎপর্যের সাথে দেখতে হবে। দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে যে যে খাতে গবেষণা জরুরি সেগুলোকে প্রায়োরিটি দিতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে মানুষের শ্বাসকষ্ট বেশি হচ্ছে, ক্যান্সার, হৃদরোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এগুলোর পাশাপাশি দেশে শব্দ দূষণ, পরিবেশ দূষণ খুব বেশি বেড়ে গেছে। এগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা কাজ করতে হবে।
গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওরস্যালাইন আবিষ্কারের আগে কেউ জানতো না এত সহজে এত বড় চিকিৎসা উপাদান আবিষ্কার করা যেতে পারে। অথচ এখন সহজেই জানা যাচ্ছে, লবণ, পানি, চিনি মিশ্রিত করে সহজ উপাদান দিয়ে ওরস্যালাইন বানানো যায়। এগুলো গবেষণার সুফল। তাই গবেষণার কাজে প্রয়োজনে বরাদ্দ বাড়ানো হবে, তবুও জাতীয় ইস্যুগুলো চিহ্নিত করে সঠিকভাবে গবেষণা চালিয়ে নিতে হবে। এটা ঠিকভাবে করা গেলে এমডিজি অর্জনের মতো এসডিজি অর্জনেও আমরা সফল হতে পারব।
দেশে অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের অনিয়ম ঠেকাতে স্বাস্থ্যখাতের অভিযান চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরাল ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল। এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন- সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা অ্যাওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারাফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেনসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।