কমলাপুর স্টেডিয়ামে আবাহনীর সমর্থকদের উল্লাস। তিন বছর পর আবাহনীর সমর্থকদের জন্য এলো শুভক্ষণ। বসুন্ধরা কিংসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতল আবাহনী।
২০১৮ সালে ফেডারেশন কাপের ফাইনালের পর আবাহনী বসুন্ধরা কিংসকে আর কোনো প্রতিযোগিতায় হারাতে পারেনি। আজ (শনিবার) ফেডারেশন কাপে আবাহনী দুর্দান্ত খেলে গত হারের ক্ষত পুষিয়ে নিয়েছে। আজকের এ জয়ে আবাহনী ৩১ বছর পর স্বাধীনতা কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল। সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের একক আধিপত্যের ছেদ ঘটাল আকাশী-নীল শিবির। তিন বছর পর আবাহনী ঘরোয়া ফুটবলের কোনো ট্রফি জিতল।
বছর তিনেক আগে বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস বসুন্ধরা কিংসকে স্বাধীনতা কাপের ট্রফি জিতিয়েছিলেন। সেই কলিন্দ্রেস এবার আবাহনীর হয়ে এসেও শিরোপা জিতলেন। আজ ফাইনালে গোল না পেলেও তার এক মুভে আবাহনীর জয় নিশ্চিত হয়েছে।
মধ্যমাঠ থেকে বক্সে বাড়ানো এক বলে কলিন্দ্রেসকে ফাউল করেন কিংসের ডিফেন্ডার রিমন। রেফারি পেনাল্টি দেন। ব্রাজিলিয়ান ডর্লেংটন গোল করলে আবাহনীর ২-০ গোলের লীড হয় এবং শিরোপার সুবাতাস পায়। ৭৪ মিনিটে তিনি আরেক গোল করেন। রাফায়েলের কর্নারে মিলাদের হেডে ডলিংটন বক্সের মধ্যে বল পেয়ে জালে পাঠান।
৫৪ মিনিটে আবাহনীকে প্রথম লিড এনে দেন চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে ঢাকা আবাহনীতে আসা উইঙ্গার রাকিব হোসেন। মধ্যমাঠ থেকে বাড়ানো বলে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ নেন রাকিব। ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতকে পেছনে ফেলে আগুয়ান গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করেন রাকিব।
বসুন্ধরা কিংস প্রথমার্ধে আবাহনীর বিপক্ষে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ইনজুরির জন্য কিংসের ব্রাজিলিয়ান জোনাথন এই ম্যাচে ছিলেন না। তার অনুপস্থিতি ভালোই ভুগিয়েছে কিংসকে। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আবাহনী ম্যাচটি নিজেদের করে নেয়।