স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে দেশ-বিদেশে উদযাপনের লক্ষ্যে লোগো অনুমোদিত হয়েছে৷ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লোগো অনুমোদন দিয়েছেন৷ রোববার (০২ মে) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে লোগো যথোপযুক্তভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷
নির্দেশিকাগুলো হলো- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত রং, বর্ণবিন্যাস এবং আকৃতি ব্যতীত অন্য কোনো ধরনের এই লোগো ব্যবহার করা যাবে না। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি, সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সব ই-মেইল, সরকারি পত্র, স্মারকপত্র, আধা-সরকারি পত্রে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের লোগোর সঙ্গে যথাযথভাবে সুবর্ণজয়ন্তীর লোগোটি ব্যবহার করা যাবে।
মুজিববর্ষের লোগো যথাস্থানে রেখে সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো বাম দিকে ব্যবহার করা যাবে। সরকারি মালিকানাধীন সব বাস, ট্রেন, দাপ্তরিক গাড়ি, নৌযান, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে চলমান বাংলাদেশ বিমান, সামরিক এয়ারক্রাফট এবং ক্রুজে উপযুক্ত স্থানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও সাজসজ্জায়, সুবর্ণজয়ন্তী লোগোর নির্দেশিকা অনুসরণ করে নির্ধারিত এবং আনুপাতিক হারে নান্দনিকভাবে লোগোটি ব্যবহার করা যাবে।
জাতীয় দিবসের বিভিন্ন উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে শুভেচ্ছা কার্ড এবং আমন্ত্রণপত্রে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে। জাতীয় পাঠ্যপুস্তক এবং সব সরকারি তথ্য বাতায়নে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার, নোটপ্যাড, স্টেশনারি, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি প্রচার সামগ্রীতে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে।
কোনো ব্যক্তিগত বা বেসরকারি ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রোডাক্ট সেবার উদ্দেশ্যে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে না। সিগারেট, অ্যালকোহল, আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা অনুরূপ দ্রব্যাদিতে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে না। বিভিন্ন ক্রীড়া, সাহিত্য, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থার অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রকাশনার ক্ষেত্রে লোগো ব্যবহার করা যাবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে নির্বাচিত লোগোটি ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।