সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ গণপদযাত্রা শুরু হয়। গণপদযাত্রা টিএসসি পেরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে আসতে চাইলে শিক্ষা ভবনের কাছে বাধার মুখে পড়ে। এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বেলা সোয়া ২টার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন এক বাংলাদেশ আশা করা হয়েছিল কিন্তু সেটি হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীদের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। ঘরে বসে থাকলেও নিরাপদ বোধ করার সুযোগ নেই। তাই রাজপথে নামতে হয়েছে।
তারা আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। গতকালই একজনকে বাসার সামনে গুলি করেছে। পুলিশ তাদের ভূমিকা পালন করছে না। এ অবস্থায় নারীসহ কেউ নিরাপদ নয়। তাই আমরা চাই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করবেন।
এর আগে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, অবিলম্বে ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার এবং সংশ্লিষ্ট আইনসমূহের যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে গণপদযাত্রা শুরু হয়।
এ সময় তারা ‘যে সিস্টেম ধর্ষক পালে, সেই সিস্টেম গুঁড়িয়ে দাও, জাগো মাতা, কন্যা, ভগ্নি জায়া; স্টেপ ডাউন হোম অ্যাডভাইজর জাহাঙ্গীর’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ‘নারী থেকে নারীতে বিদ্রোহ ছুঁয়ে দে, পুরুষের ক্ষমতা ভেঙে হোক সমতা’ ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, জাহাঙ্গীর জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
গণপদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, অবিলম্বে ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার এবং সংশ্লিষ্ট আইনগুলোর যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। তবে এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে শহিদ মিনারে সমবেত হয়ে তরুণ ও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচির মূল ব্যানার ও বিভিন্ন পোস্টার-প্ল্যাকার্ড লিখেন। এ সময় পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে ‘পাহাড় থেকে সমতল, সকল ধর্ষণের বিচার চাই’, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ধর্ষণের রাজনীতি’, ‘আমরা জন্ম থেকে শহিদ’, ‘তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার কই’—ইত্যাদি প্রতিবাদী স্লোগান লেখা হয়।