পড়ন্ত বিকেলে তারা ফিরবেন আগেই জানা । বিকেল সাড়ে পাঁচটার কিছু পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে রাজধানী ঢাকায় পা রেখেছেন তাসকিন আহমেদ এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। পেসার তাসকিন আর অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজের সঙ্গে একই ফ্লাইটে ৬ জনের বহরে আরও এসেছেন ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাকডারমট, ম্যানেজার নাফিস ইকবাল এবং দুই সাপোর্টিং স্টাফ।
সেই পরশু, সোমবার শুরু হয়েছে যাত্রা। দীর্ঘ বিমান ভ্রমণে ক্লান্ত, অবসন্ন। তারপরও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নর উত্তর দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
কথা প্রসঙ্গে মিরাজ বলেছেন, ‘তিনি স্বপ্ন দেখেন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ জেতার।’ ভাববেন না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা বলেছেন এ অলরাউন্ডার। তার আশা ভরসার কেন্দ্রবিন্দু ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মিরাজের আশা বিশ্বকাপে টিম বাংলাদেশ ভাল করবে এবং সে লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগুচ্ছে টাইগাররা।
এ স্পিনিং অলরাউন্ডারের অনুভব, ‘বাংলাদেশ এখন কক্ষপথেই আছে। এভাবে এগুলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভাল করা সম্ভব।’
মিরাজ মনে করেন, দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ, পরিণত পারফরমার আছেন। তার কথা, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ তো বেশি দুরে নেই। হয়তো এক বছর ২/৩ মাস বাকি আছে; কিন্তু আমরা যেভাবে যাচ্ছি, আমাদের যেভাবে ওয়েট আছে, সো আমি মনে করি এই প্রসেসে আগালে আমাদের সামনে বিশ্বকাপটা আরও বেশি ভালো হবে। কারণ অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও থাকবে। তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশি ভাই, রিয়াদ ভাই আছেন- তারা তো অনেক অভিজ্ঞ। তারপর আমি, মোস্তাাফিজ, লিটনরাও খেলেছে অলমোস্ট পাঁচ বছর। সো মোটামুটি ভালো একটা একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলতে পারব।’
মিরাজ মনে করেন, বলে-কয়ে তো আর বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব নয়। তবে সর্বাত্মক চেষ্টার প্রতিশ্রুতি তার কন্ঠে, ‘বিশ্বকাপে ভাল খেলা আমাদের সবারই দায়িত্ব। কারণ সেখানে ভালো কিছু করলে আমাদের নিজেদের জন্য যেরকম ভালো হবে দেশের জন্যও ভালো হবে। তাই অবশ্যই বড় একটা অর্জন করার চেষ্টা করবো; কিন্তু এটা তো আপনি বলতে পারেন না যে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নই হব। আমরা চেষ্টা করতে পারি, হয়তো ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। যে কিভাবে বিশ্বকাপটা জেতা যায়, সে পথটা আমরা বের করতে পারি। এটা তো ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। আমরা তো স্বপ্ন দেখি, এশিয়া কাপ জিতবো এবং বিশ্বকাপও জিতবো।’