রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে গণভবনে এই বৈঠক শুরু হয়। সংসদের চিফ হুইপ নূর-এ-আলম চৌধুরী লিটন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
স্বতন্ত্র এমপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের নির্বাচনী এলাকায় যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকেন, তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।
যেসব প্রকল্প দেশের মানুষের জন্য অর্থবহ, সেসব প্রকল্প গ্রহণ করতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানান।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২২৩টি আসন পেয়েছে। বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসন পায়। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র এমপিদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অনেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও রয়েছেন। এই অবস্থায় তাদের অবস্থান কী হবে, তারা সংসদে কী ভূমিকা রাখবেন সে সম্পর্কে নির্দেশনা দিতেই গণভবনে তাদের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এবারের সংসদে স্বতন্ত্র এমপিরা প্রধান বিরোধী দল হতে পারে বলে গুঞ্জন থাকলেও সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। যদিও স্বতন্ত্র এমপিদের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন, স্বতন্ত্ররা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন এবং ভালো কাজের প্রশংসাও করবেন। এতে সংসদ প্রাণবন্ত হবে বলে মনে করছেন তিনি।