প্রথমে পিছিয়ে পড়ে শেষদিকে ঘুরে দাঁড়ানোই যেন বর্তমানে ফ্রান্সের অভ্যাস! ইউরো নেশনস লিগে সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও তারা একই গল্প লিখলো। দারুণ ছন্দে থাকা তারুণ্য নির্ভর স্পেনকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টটির দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো ফরাসিরা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে ইতালির সান সিরো স্টেডিয়ামে নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হয় দিদিয়ের দেশমের শীর্ষরা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে তারা ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে। এর কয়েক মিনিট পরই চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা করিম বেনজেমার দারুণ এক গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। আর নির্ধারিত সময়ের ঠিক দশ মিনিট পূর্বে জয়সূচক গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এর আগে সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষেও একইভাবে ম্যাচ জিতেছিল তারা। ফাইনালেও সেটার পুনরাবৃত্তি হলো। এ নিয়ে সর্বশেষ ৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে ৭টিতেই প্রথমে গোল হজম করেও জয় ছিনিয়ে আনলো ফ্রান্স। রবিবার রাতে ম্যাচের প্রথমার্ধ অনেকটাই ম্যারম্যারে হয়েছে। কোনো দলই জোড়ালো আক্রমণ করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে এসে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তুলে উভয় দলের ফরোয়ার্ডরা। যার ফলে ৬৪ মিনিটেই স্পেনকে এগিয়ে নেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। কিন্তু তাদের আনন্দ বেশিক্ষণ টিকলো না। এর ঠিক দুই মিনিট পরই পল পগবার পা থেকে এমবাপ্পে হয়ে বল চলে যায় বাঁ প্রান্তে জায়গা খোঁজা বেনজেমার কাছে।
তিনি বক্সের বাইরে থেকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে নেওয়া বাঁকানো শটে গোল আদায় করে নেন। আর ৮০ মিনিটের সময় থিও হার্নান্দেজের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমোনকে একা পেয়ে যান এমবাপ্পে। গোল দিতেও তার খুব একটা অনুবিধা হয়নি। পুরো ম্যাচে মোট ৬৪ শতাংশ বল দখলে ছিল স্পেনের এবং তারা পাস খেলেছে ৬২৬টি। অন্যদিকে, ফ্রান্স পাস খেলেছে এর অর্ধেক মাত্র ৩৫৩টি।