পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের পানে ছুটছে মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল থেকেই ট্রেনে এবারের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। চলতি বছর ঈদযাত্রা ও ফিরতি যাত্রার শতভাগ টিকিটই অনলাইনে সংগ্রহ করেছেন যাত্রীরা। তবে ঘরমুখো অনেকেই এখনো টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে ট্রেনের আগাম টিকিট কাটতে ব্যর্থদের ভিন্ন সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগেই স্টেশনে মিলছে স্ট্যান্ডিং টিকিট।
চাহিদার তুলনায় কম হলেও ২৫ শতাংশ যাত্রীর জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সুলভ শ্রেণির সমপরিমাণ টাকাতেই তারা দাঁড়িয়ে হলেও কষ্ট করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সরোয়ার।
রেলওয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট সিটের ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট দিয়ে থাকি। এ সময় ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকলেও চাহিদা বেশি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাসুদ সরোয়ার বলেন, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৫৫ জোড়া ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে তিন জোড়া।
এ বছর ঈদযাত্রা ও ফিরতি যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে সংগ্রহ করেন যাত্রীরা। গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া এবারের ঈদযাত্রা চলবে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াও সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখার লক্ষ্যে কমলাপুর ফেরার পথে বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিচ্ছে না সাতটি এক্সপ্রেস ট্রেন। সোমবার থেকে এসব ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে না থেমে সরাসরি ঢাকা স্টেশনে (কমলাপুর) গিয়ে থামছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন এই নিয়ম মেনে চলবে। পাশাপাশি ঈদের ১০ দিন আগে ও ঈদের পরে ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনে সেলুন কার সংযোজন করা হবে না।