দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে পৌনে ৯ লাখ আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে আবেদন পড়েছে ৫ লাখ এবং বেসরকারি স্কুলে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় লটারির অধীনে আসা সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩ হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়ে মোট আসন আছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। এসব আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২। এর মধ্যে ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে আসন আছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। এসব বিদ্যালয়ে আবেদন পড়েছে ৫ লাখ।
অর্থাৎ সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে যত আসন আছে, তার চেয়ে প্রায় আড়াই লাখ কম আবেদন জমা পড়েছে। তবে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে যত আসন আছে, তার প্রায় পাঁচ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুলে আসনের চেয়ে সাত লাখ কম আবেদন জমা পড়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, এখন আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে এ মাসের শেষ সপ্তাহে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। ২৬ নভেম্বর লটারির জন্য নির্ধারিত আছে।
মাউশির অধীন দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৪) জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। প্রথমে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি বিদ্যালয়ে আসনের চেয়ে যতসংখ্যক বেশি আবেদন জমা পড়েছে, তারা সেগুলো মেলালেও বেসরকারি বিদ্যালয়ে সব আসন পূরণ হবে না।
বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর দেওয়া আসনের সংখ্যা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ প্রকাশ করলেন মাউশির একজন কর্মকর্তা। তার ভাষ্য, বেসরকারি স্কুলগুলো আসনের যে সংখ্যা দিচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
আবেদনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি আবেদনে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দেওয়ার সুযোগ ছিল। এ ক্ষেত্রে ডাবল শিফট চলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দক্রমে দিলে দুটি পছন্দক্রম বলে বিবেচিত হয়েছে।