পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ দেশের সাধারণ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি পর্যায়ের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খােলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
রোববার (১৪ মার্চ) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনাগুলো হলো : স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি আগামী ৩০ মার্চের আগেই সম্পন্ন করতে হবে।
কোনাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার অথবা মেরামতের প্রয়োজন হলে তা ৩০ মার্চর আগে সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রযােজ্য ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কার অথবা মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার বিষয়টি মনিটরিং করবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খােলার পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবস পাঠদান শেষে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। সেখানে আগামী ৩০ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মন্ত্রী জানান, প্রথমদিকে সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করবে পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ক্লাস সপ্তাহে দুই দিন। বাকি শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন ক্লাসে এসে পড়া নিয়ে বাড়ি যাবে। মধ্যে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।