চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ইমন রহমান নামে (১৪) এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখমের পর ফেসবুকে সেলফি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ওই ৯ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দশমী গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ধারালো চাপাতি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার (২৮ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝেরপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ওসমান গনি আসিফ (১৯), একই এলাকার বিটুল পারভেজের ছেলে রাতুল (১৭), লিপুর ছেলে শিশির (১৬), বাগানপাড়ার রাশিদুল ইসলামের ছেলে সন্দিপ (১৬), সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মানিক মিয়ার ছেলে খালিদ (১৫), পোস্ট অফিসপাড়ার জিয়ারুল হকের ছেলে সোহান (১৬), সদর উপজেলার হাতিকাটার গ্রামের সোহেল রানার ছেলে অনিক জোয়ার্দ্দার (১৬), দৌলতদিয়াড় গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে প্রিন্স (১৬) ও একই এলাকার আশরাফুলের ছেলে ইমন (১৬)।
পুলিশ জানায়, একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে রোববার (২৭ জুন) সন্ধার পর শহরের ইসলামী হাসপাতলের সামনে ইমন নামে এক স্কুলছাত্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এই কিশোর গ্যাং। রাতে তারা সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। সেই রাতেই মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে দশমী গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, রোববার এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখমের পর ফেসবুকে সেলফি তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এই ৯ কিশোর। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে দশমী গ্রাম থেকে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক ৯ জনই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের কাছ থেকে চারটি ধারালো চাপাতি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।