করোনার কারণে প্রবাসীদের সৌদি আরবে ফিরে গিয়ে সাত দিন নিজের খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এমন ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে ২৪ মে পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন নতুন করে নিয়ম করেছে, কেউ যদি করোনাভাইরাস ছড়ায় তাকে পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। যদি সেই ব্যক্তি প্রবাসী হয় তবে তাকে শাস্তি দেওয়ার পর সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত করা হবে। আর ওই ব্যক্তি কোনও দিন সৌদি আরবে আসতে পারবে না।
সব মিলিয়েই বিপাকে পড়েছেন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম শিথিল করে ঘরে কোয়ারেন্টাইনের সুযোগ করে দেয়ার দাবি করেছেন তারা। সৌদিগামী ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস পাওয়া যাবে না কিছুতেই, যদি না থাকে হোটেল বুকিং আর ইনস্যুরেন্স। গত ১০ মে সৌদি সরকারের এ বিধিনিষেধ সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, যারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে সাত দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর হোটেলের ব্যয়ও বহন করতে হবে যাত্রীকেই।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২০ মে হতে ২৪ মে পর্যন্ত বিমানের সৌদিগামী সকল ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সৌদিতে আসতে চাওয়া প্রবাসীরা অন্যদিকে সেখানে অবস্থা করা বাংলাদেশিরাও ফিরতে পারছেন না দেশে। এ অবস্থায় কোয়ারেন্টাইনের বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিং এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে করার নির্দেশনাও দিয়েছে জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সৌদি আরবে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে ঢাকা থেকে ফ্লাইটে যাত্রীকে বোর্ডিং ইস্যু করা যাবে। সৌদিতে পৌঁছানোর পর যাত্রীকে আরও দুবার করোনা টেস্ট করতে হবে। প্রথমবার করতে হবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ষষ্ঠ দিনে আবারও করোনা টেস্ট করতে হবে। টেস্ট করার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে। দুবার টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে হোটেল কোয়ারেন্টিন থেকে সপ্তম দিনে বাসায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে।
যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। তবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ২ ডোজ, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ ডোজ, মডার্না ২ ডোজ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ১ ডোজ যারা নিয়েছেন তারা হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার বদলে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকার সুবিধা পাবেন।