গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীসহ সারা দেশে ৩৩১ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮১ জন কন্যাসহ ১০৩ জন। ১৪ জন কন্যা ও ১০ জন নারীসহ ২৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার। দুই কন্যা ও এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সেপ্টেম্বরে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮ জন, যাদের আট জনকে যৌতুকের দাবিতে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৩৩১ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকারের পাশাপাশি ৯ কন্যা শিশুসহ ১৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে ২২ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন শিশুকন্যা। আট জন উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে, এর মধ্যে ছয় জন শিশু। এসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে একজন। দুজন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন, তার মধ্যে একজনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮ জন, এর মধ্যে আট জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০ জন, এর মধ্যে রয়েছে দুই কন্যাশিশু।
পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুজন। বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তিন জন কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিন কন্যাশিশুসহ ২০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সাত কন্যা শিশুসহ ২৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে দুই শিশুসহ পাঁচ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। ১৫ জন কন্যাসহ ১৯ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। দুজন কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে আট জন।
সেপ্টেম্বর মাসে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ৯টি। বাল্যবিয়ের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে আটটি। এছাড়া ছয় কন্যাশিশুসহ ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মোট ৫৪৫ জন কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ১০১ জন কন্যা দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, সাত জন কন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার শিকার হয়েছে।