সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে মূল্যসূচক। তবে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। মূলত বাছাই করা ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পরও বাছাই করা বেশিকিছু কোম্পানি দাম বাড়ায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকে দিনের লেনদেন শেষ হয়। ডিএসইতে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানির মধ্যে দিনের লেনদেন শেষে ১৮টি কোম্পানি দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংক খাতের ১৫টির শেয়ারের দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে আটটির দাম। ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অব্যাংকিং আর্থিক খাতের বা লিজিং কোম্পানিগুলোর মধ্যে আটটির শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং কমেছে ১১টির।
দাম বাড়ার তালিকায় প্রাধান্য দেখিয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি। এ খাতের ২৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩টি। বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতের ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৯টির দাম। ওষুধ খাতেরও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এ খাতের ১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৩টির।
এদিকে দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ হাজার ২৫৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৭৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৮৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিপিএইচ ইস্পাত। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে—বেক্সিমকো, সাইফ পাওয়ার টেক, এসএস স্টিল, বেক্সিমকো ফার্মা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, শাহাজিবাজার পাওয়ার এবং অ্যাক্টিভ ফাইন।