ইরান সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি অর্জন করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই তারা ওই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি অর্জনের কথা জানিয়েছে।
বুধবার তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদরা অত্যাধুনিক ক্রুজ মিসাইলের ডিজাইন এবং উৎপাদন করার প্রযুক্তি অর্জন করেছে। অভ্যন্তরীণভাবে ডিজাইন করা ওই মিসাইলটি উচ্চ সুপারসনিক গতিতে হামলা করতে সক্ষম।
বুধবার ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন প্রজন্ম। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
নয়া প্রজন্মের ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে জানানো হয়েছে। কারণ সুপারসনিক গতিতে উড়ে যাওয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকানো অত্যন্ত কঠিন।
এখন পর্যন্ত ইরানি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণের জন্য একটি রকেট-সহায়ক টেকঅফ বা রাটো ইঞ্জিনের ওপর নির্ভরশীল ছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ‘তুলু’ বা সানরাইজ নামে একটি টার্বোজেট ইঞ্জিন ডিজাইন করা হয়েছে।
ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং প্রকৌশলীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজস্ব সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। তাদের এসব অর্জন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেছে।