পাবনার সুজানগরে আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ এপ্রিল) তাঁতীবন্ধ ইউনিয়নের খাঁর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার আব্দুল কুদ্দুস ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হারুন আর রশিদকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলার জন্য তাঁতীবন্ধ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দায়ী করেছেন আহতরা। তাঁতীবন্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার আব্দুল কুদ্দুসের অভিযোগ, মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিলের বিষয় নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাসা থেকে বের হই। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হারুন আর রশিদের সঙ্গে তার মোটারসাইকেল নিয়ে সুজানগর উপজেলা পরিষদে দিকে যাচ্ছিলাম। পথে খাঁর পাড়া এলাকায় চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধার ভাই মানিক মৃধার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হঠাৎ আমাদের ওপরে হামলা চালান। আমাদের কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই তারা লাঠিসোঠা ও রড দিয়ে আমাদের আঘাত করতে শুরু করেন। আমাদের চিৎকারে স্থানীয় মানুষজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে সুজানগর হাসাপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় আমাদের।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁতীবন্ধ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধা বলেন, ঘটনার সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদের মিটিংয়ে ছিলাম। সেখান থেকেই মারামারির খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় আমার কর্মীরা বা আমার পরিবারের কেউ জড়িত নয়। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে ঘটনার সঙ্গে আমাদের জড়ানোর চেষ্টা করছে। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।