আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে জুলাই পদযাত্রার শুরুতে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল। নতুন দেশ গঠনে সারাদেশে কর্মসূচি চলছে। জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার, বিচার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন চেয়েছি। আমরা মনে করি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এখনো হয়নি। আগের সিস্টেম রয়ে গেছে। ফলে সেই সিস্টেমকে বিলোপ করে নতুন দেশ গঠনের লক্ষ্যেই এই নতুন পার্টি ও আমাদের কর্মসূচি। এনসিপির কার্যক্রম সারা দেশে চলছে। আপনারা আমাদের হাতকে শক্তিশালী করবেন। তরুণ ও বিকল্প নেতৃত্বকে বেছে নেবেন।
নাহিদ আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র, মৌলিক সংস্কার, গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধানের জন্য আমরা লড়াই করছি। অবশ্যই জুলাই ঘোষণাপত্র জুলাই-আগস্টের মধ্যে দিতে হবে। উত্তরবঙ্গে ঠাকুরগাঁওসহ যে অবহেলিত জেলাগুলো রয়েছে এইসব জেলাতে কোনো আঞ্চলিক বৈষম্য থাকবে না, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। উন্নয়ন বলতে শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক হবে না। যেদিন এই অবহেলিত জেলাগুলোতে উন্নয়ন হবে, সেদিনই আমাদের কাছে উন্নয়ন গ্রহণযোগ্য হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, আবু সাঈদ লিওন ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মুর্তজা সেলিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
পরে ঠাকুরগাঁও মডেল মসজিদে জুম্মার নামাজের পরে বক্তব্য দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, সংগঠনিক বিস্তারের জন্য আমাদের এই পদযাত্রা। বিচার ও সংস্কারের মধ্য দিয়ে সবার গ্রহণযোগ্য গণতন্ত্র উত্তরণের পথের দিকে যেতে পারি এটাই এনসিপির মূল লক্ষ্য।