বৈঠকে উভয় দেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আপত্তিকৃত জমি আগামী ২০ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ যৌথভাবে পরিমাপ করবে। এর প্রেক্ষিতে জমি চাষ সংক্রান্ত বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১০২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার রমেশ কুমার।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছিলেন। শনিবার সকালে বোরো ধান রোপণ করতে গেলে বিএসএফ ও স্থানীয়রা তাকে বাধা দেয় এবং জমিটি ভারতের বলে দাবি করে। বাধার মুখে তিনি চাষাবাদ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।
একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা শাহীন গাজী জানান, তার বাবা নজরুল গাজী ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় ১ বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে চাষাবাদ করছেন। তবে শনিবার বিকেলে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেয় এবং জমিটি ভারতের অংশ বলে দাবি করে।
ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, আপত্তিকৃত অংশ ছাড়া অন্যান্য এলাকায় চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে। আপত্তিকৃত জমি যৌথ পরিমাপের মাধ্যমে ১৫ জানুয়ারির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিজিবি ও বিএসএফের সমঝোতার মাধ্যমে সীমান্ত এলাকার সমস্যাগুলো সমাধানে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে এবং সীমান্ত এলাকার জনগণ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবে।