মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী এলাকায় চলছে উত্তেজনা। যার প্রভাব এসে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে। এই অস্থিরতার মাঝে টেকনাফের জলসীমা পরিদর্শন করেন কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জলসীমায় কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার রয়েছে। সীমান্তে আর কাউকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা কিংবা রাখাইনের যে কোনো অনুপ্রবেশ রোধে কোস্টগার্ডের জনবল এবং জলযান বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাখাইনের সংঘাত, সংঘর্ষ বাংলাদেশের জন্য কোন হুমকি মনে করেনা।
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে গোলাগুলি, সংঘর্ষ ও বিস্ফোরণের শব্দ এপারে চলে আসছে। এ কারণে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্বেগ উৎকন্ঠা রয়েছে। এ ব্যপারে কোস্ট গার্ডসহ বিজিবি নৌবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী সীমান্তে সতর্ক নজরদারিতে রয়েছে।
তিনি আরও জানান সীমান্তে অনুপ্রবেশরোধ মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে কোষ্টগার্ডের মহাপরিচালক জলসীমা পরিদর্শনকালেই টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে মায়ানমারের ওপার থেকে ছোঁড়া গুলিতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।