চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির শীতলপুরে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের দুই রাত অতিবাহিত হলেও এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে। আবার বিস্ফোরণ হতে পারে এ আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছাড়ছেন।
রিপোর্ট লেখা র্পযন্ত ঘটনার ৪৬ ঘণ্টা পরও ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মনে। ডিপোতে কাজ করা শ্রমিকেরা থাকতেন যেসব এলাকায়, সেখানকার ভাড়া ঘরগুলো অনেকটা খালি হয়ে গেছে। বেচাকেনা কমে গিয়েছে দোকানপাটে।
সরেজমিনে ওই এলাকার আশপাশের গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকটি ঘরের দু-একজন ছাড়া প্রায় সকলে এলাকা ছেড়েছেন। আতঙ্কিত লোকজনের অনেকে আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মসজিদের মাইকে সতর্কতার সাথে বসবাস করার কথা ঘোষণা করা হলে বেশির ভাগ পরিবার তাদের শিশুদের স্বজনদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর থেকে নীরঘুম রাত কাটাছেন ওই এলাকায় বসবাস করা লোকজন। খসে পড়েছে বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে জানালার কাঁচ,পুকুরে নেই পানি, খাওয়ার পানির সংকট সব মিলিয়ে দিশেহারা ডিপোর পাশের বসবাসরত লোকজন। মালিককে না বলে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে ভাড়াটিয়ারা।
স্থানীয় বাসিন্দা জহির ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার রাতে বিএম ডিপোতে প্রথম বিস্ফোরণের পর থেকেই লোকজন আতঙ্কিত। বারবার বিস্ফোরণে কোনমতেই কাটছেনা আতঙ্ক। ৪৬ ঘন্টা পর হলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তারা চিন্তিত।
ডিপোর পাশের কেশবপুর গ্রামের গৃহিনী শাহেলার সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি ‘প্রতিদিনের সংবাদ’কে বলেন, বিস্ফোরণের পর থেকে এলাকার মানুষ এলাকা ছেড়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের সাথে সাথে অন্যএ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আবার বিস্ফোরণ হতে পরে এমনটা মনে করে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
৯নং কেশবপুর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. রবিন বলেন, এলাকার পরিস্থিতি অনকটা ভয়াবহ! বিস্ফোরণের আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী। ঘর মালিকদের না বলে ভাড়াটিয়ারা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজে প্রায় সবকয়টি পুকুরে পানি শুকিয়ে গেছে। বিকট আওয়াজের কারণে অনেকে কানে শুনছেন না। অনেকে স্বর্দি কাশি দেখা দিয়েছে।