চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ দাঁড়িয়েছে। এঘটনায় অন্তত ৩০ জন দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরণের পর লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কদমরসূল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে এই ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, মো. নূর হোসেন (৩০), মো. আরাফাত (২২). মোতালেব (৫২), ফেনসি (৩০), মো. জসিম উদ্দিন (৪৫), নারায়ণ (৬০), মো. ফোরকান দাদা বয়স (৩৫), শাহরিয়ার (২৬), মো. জাহিদ হাসান (২৬), মো. আলমগীর (৩৪) ও মো. সেলিম (৩৭)।
স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠেছে। বিস্ফোরণের সময় প্ল্যান্টের ভেতর লোকজন ছিল।
পুলিশ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছেন।
এর আগে গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে আগুন নেভাতে একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। পরে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও যোগ দেয় আরও কয়েকটি ইউনিট। সবমিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে নিরলস পরিশ্রম করে।
কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় ওই সময় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা। আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশাসন প্রথমে ৪৯ জন নিহতের তথ্য দিলেও পরে জানানো হয় এই সংখ্যাটা ৪১। তবে পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থল থেকে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার ছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও কয়েকজন মারা যান। এতে সেই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ জনে।