সিলেটে নির্বাচনী সহিংসতায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা যুবক মারুফ আহমদ (১৮) মারা গেছেন। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত মারুফ আহমদ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার ইউনিয়নের গুপ্তরগাঁওয়ের মো. ছোয়াব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩১ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। একইসঙ্গে দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার ইউনিয়নেও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হয়। কিন্তু নির্বাচনী ফলাফলে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ছোয়াব আলী ও তালা প্রতীকে আমির আলী সমান সংখ্যক ১১২ ভোট করে পান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারি হয়। এ সময় ফুটবল প্রতীকের সাধারণ সদস্য প্রার্থী ছোয়াব আলীর ছেলে মারুফ আহমদসহ ৫/৬ জনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আমির আলীর সমর্থকরা। মারামারিতে গুরুতর আহত হন মারুফ। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন (১ ফেব্রুয়ারি) নিহত যুবকের বাবা মো. ছোয়াব আলী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই মধ্যে দায়ের করা মামলায় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- একই গ্রামের হাফেজ আকবর আলীর ছেলে সুফি আহমদ (২৬), তার সহোদর মাহমুদুল হাসান রাজু (৩০) ও মো. মাহমদ আলীর ছেলে ফয়জুল হক (২৮)। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মারামারির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৩ জন গ্রেফতার রয়েছেন। এবার ওই মামলায় ৩০২ ধারা অন্তর্ভূক্ত করা হবে।