ভূমধ্যসাগরে সিরিয়ান উপকূলের কাছাকাছি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র দুই কর্মকর্তা শহীদ হওয়ার পর তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন সময়ে এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে সোমবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপদেষ্টাদের রক্ষা করার জন্য তার দেশ চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে। গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের যে দুই সামরিক কর্মকর্তা শহীদ হয়েছেন সে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তেহরান।
গতকাল পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, সিরিয়ায় আমেরিকার সেনাদের ওপর দিন দিন হামলা বেড়ে চলার প্রেক্ষাপটে তারা সিরিয়ার উপকূলে এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে।
সাবরিনা সিং জোর দিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে সিরিয়ায় মোতায়েন করা সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা ওয়াশিংটনের নেই।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘকে যে চিঠি দিয়েছেন তাতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি দামেস্কের অনুরোধ হয়েছে এবং এটা সম্পূর্ণরূপে বৈধ।