সন্তানের অভাব পূরণ করতেই সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে শিশু চুরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গ্রেফতার রানী খাতুন। তার এ কথার সত্যতা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে শিশুর চুরির ঘটনায় রানী খাতুনের বাবা আনোয়ার হোসেনকেও (৫৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৬ মার্চ) রাত ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম। পুলিশ সুপার বলেন, ‘কামারখন্দ উপজেলার চৌবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করা রানী খাতুনের ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় কামারখন্দ কৃষি কারিগরি কলেজের কর্মচারী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তাদের ১৪ বছরের বিবাহিত জীবনে সাত মাস আগে একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছু সময় পরই মারা যায়। সন্তানের অভাব পূরণ করতে শিশু চুরির পরিকল্পনা করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানী খাতুন স্বীকার করেছেন। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিশু চুরির সঙ্গে কোনো চক্র কাজ করছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের বারাকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ২৩ দিনের শিশুসন্তানকে বাড়ি থেকে চুরি করা হয়। বিকেল ৪টায় সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কের বেসরকারি আভিসিনা হাসপাতালের সামনে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সিরাজগঞ্জের সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালে জন্মের ছয় ঘণ্টা ও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২৩ দিন বয়সী শিশু চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শিশুটির পিতা চয়ন ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনার পাঁচদিনের ব্যবধানে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে সলঙ্গা থানাধীন আলোকদিয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে জীবিত ও মৃত শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিন পুরুষ ও পাঁচ নারীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।