নির্বাচন কমিশনারদের কোনো তোয়াক্কাই করছেন না সচিব মো. জাহাংগীর আলম। হরহামেশাই এড়িয়ে যান কমিশনারদের। নিজের মতো করে বাস্তবায়ন করেন সিদ্ধান্ত। এবার সরাসরি সিইসির নির্দেশ অমান্য করলেন তিনি। এমনকি প্রতিনিয়তই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে চলেছেন তিনি। দুর্ব্যবহার করেন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের ইসি সচিবালয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অগ্রগতি নিয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। অংশ নেন ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। সভার শুরুতে সাধারণত ছবি নিয়ে থাকেন সাংবাদিকরা। এ দিন ছবি নিতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ছবি নিতে বাধা প্রদান করেন তিনি।
সভা শেষ হলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ করলে তিনি কথা বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এরপর সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কক্ষে প্রবেশ করেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই ইন্টারকমে ফোন করে সচিবকে গণমাধ্যমে ব্রিফ করার নির্দেশ দেন সিইসি। সাংবাদিকরাও অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর আবারো সাংবাদিকরা ইসি সচিবের কাছে যান। বৈঠকের বিষয়ে তাকে ব্রিফ করার কথা বললে, তিনি বলে উঠেন কিসের ব্রিফিং। কোনো ব্রিফিং হবে না। এই বলে চলে যান নিজের কক্ষে।
নির্দেশ অমান্য করে ব্রিফিং না করার বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সিইসিকে জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে সচিবের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সভাপতি মো. সাইদুর রহমান বলেন, ইসি সচিবের দুর্ব্যবহারের বিষয়ে আরএফইডি’র সদস্যসহ অন্য সাংবাদিকরা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ইসি সচিবের এমন আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতার বাধা।
তিনি বলেন, আজকের ঘটনায় স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সচিবকে টেলিফোনে সংবাদ সম্মেলন করতে বলেছেন। কিন্তু উনি সিইসি’র নির্দেশনা অমান্য করে সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। আমরা এই বিষয়টি সিইসিকে সাংগঠনিকভাবে জানাব।