নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক অপর দুজন হলেন— প্রফেসর এস এম জার্জিস কাদির (৬০), মো. আসাদ আলী (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি লিফলেট বিতরণ শুরু করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় সিংড়া থানার এসআই আব্দুর রহিম ও আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত অপর দুই সদস্য হলেন— আ. মালেক ও আ. লতিফ। আহত দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে ও একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ সময় পুলিশ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদসহ তিনজনকে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সিংড়া সার্কেলের এএসপি মো. আকতারুজ্জামানের সরকারি গাড়িসহ মহাসড়কের ৭টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে শ্রমিকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা আটক বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদের পেট্রোল পাম্পে হামলা করে পাম্প ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে সিংড়া থানা পুলিশ ও ডিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। তৎক্ষণাৎ নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কর্মীদের অতর্কিত হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপি কর্মীরা বেশ কয়েকটি পরিবহন ভাঙচুর করে। এরপরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদসহ তিনজনকে আটক করা হয়।