রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিআরটিসির বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান নেতাকর্মীরা।
এ সময় ঢাকা নগর পরিবহনের ২৬ নম্বর রুটে ঘাটারচর টু কদমতলী অভিমুখের ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৫০০২ নম্বরের বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস ভাঙচুর করা হয়। এরপর উপর্যুপরি ইটপাটকেলের আঘাতে সামনের ও পাশের গ্লাস ভেঙে যায়। এ সময় বাসের সামনের ২টি সিটেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, সায়েন্সল্যাবে একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে আমরা ইউনিট পাঠাতে পারছি না ঘটনাস্থলে, কারণ ওইখানে সংঘর্ষ চলছে বলে পুলিশের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত হলে আমাদেরকে যদি পুলিশ জানায় তাহলে আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে যাবে।
রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, পদযাত্রার শেষের সারি থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে তারা লাঠিপেটা করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে তারা একটি বিআরটিসি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাসের গ্লাস ভেঙেছে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা না ঘটালেও পারত। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ঘটনায় ১০/১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এর আগে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পদযাত্রাটি সীমান্ত স্কয়ারের সামনে থেকে সিটি কলেজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।