আবারও বেড়েছে সুদহার। ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে সাড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত জুলাইয়ে বেঁধে দেওয়া ৯ শতাংশ সুদহার তুলে নেওয়ার পর এটিই ঋণের সর্বোচ্চ সুদ। গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মার্চে তা বেড়ে হয় ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। এরপরের মাস এপ্রিলে তা হচ্ছে ১৩ দশমিক শূন্য ৫৫ শতাংশ।
তবে ভোক্তা ঋণ দিতে হবে ১৪ দশমকি ৫৫ শতাংশ সুদ। যা মার্চে ছিল ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ আর জানুয়ারিতে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ভোক্তা ঋণের সুদহার ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন ‘স্মার্ট’ এর সঙ্গে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ হবে যা এতোদিন ছিল ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ও কৃষি ও পল্লী ঋণের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক হারে মার্জিন যোগ হবে যা আগে ছিল ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। সে হিসাবে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ও কৃষি ও পল্লী ঋণের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ হবে। অর্থাৎ এপ্রিলে প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা মার্চে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
তবে মার্চে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক সুদ নিতে পারবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কারণ সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ও ভোগ্যপণ্য যেমন গাড়ি কেনার ঋণ, আবাসন ঋণ, শিক্ষা ঋণসহ ফ্রিজ, টিভি কম্পিউটার ইত্যাদি ক্রয় করার জন্য যে ঋণ নেওয়া হয়, মূলত এসব ভোক্তা ঋণ।
এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এখন ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফেব্রুয়ারির মত মার্চেও স্মার্ট রেট বেশি বেড়ে যাওয়ায় ঋণের সুদহার মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বজায় রাখতে ঋণের সুদহার নির্ধারণের ‘স্মার্ট’ মার্জিন রেট দশমিক ৫০ শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে দশমিক ২৫ শতাংশ কমিয়েছিল। অর্থাৎ দুই মাসে কমলো দশমকি ৭৫ শতাংশ।