সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) কংগ্রেস আগামীকাল। আগামীকালের কংগ্রেসের পর নতুন কমিটি আরো চার বছর দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের নেতৃত্ব পাবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মতো দক্ষিণ এশিয়া ফুটবল ফেডারেশনেও চতুর্থ বারের মতো সভাপতি হচ্ছেন কাজী সালাউদ্দিন। সভাপতি পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার জটিলতা না হলেও সাফের দুই সহ-সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ভারত আগেই সুব্রত দত্তের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত সপ্তাহে অল নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশনে শেরপা সভাপতি পদে হেরে যাওয়ায় নেপালের নতুন কমিটি শেরপার সাফের সহ-সভাপতি প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছে। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘আমাদের নির্বাহী কমিটিতে দুই সহ-সভাপতি। দুটি পদই প্রত্যাহার হওয়ায় এই পদ একেবারে শূন্য। কংগ্রেস থেকে এই শূন্য পদ পূরণের নির্দেশনা নেয়া হবে।’
সাফের নির্বাহী কমিটি সাত সদস্যের। সভাপতি, দুই সহ-সভাপতি, দুই সদস্য, একজন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রতিনিধি, আরেকজন নারী সদস্য।
আগামীকাল সাফ কংগ্রেসের আগে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সুখবর এসেছে। পাকিস্তান ফিফার নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছে। ফলে সামনের টুর্নামেন্টগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে, ‘সামনের কয়েকটি টুর্নামেন্টের দল ও ভেন্যু চূড়ান্ত। এরপর থেকে তাদের প্রতিটি খেলায় আমন্ত্রণ পাঠাব।’
সাফের চলতি নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি পাকিস্তানের খাদিম আলি শাহ। তাকে সাফ সচিবালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ভিসা জটিলতায় তিনি আসতে পারছেন না। পাকিস্তানের মতো এই কংগ্রেসে অনুপস্থিত থাকছে ভারতও। হঠাৎ ভারতের ফুটবল ওলট-পালট হওয়ায় ভারত থেকে কোনো প্রতিনিধি সাফের সভায় আসছে না।
ভারত-পাকিস্তান ছাড়া সাফের পাঁচ দেশের ডেলিগেটরা ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বেলা চারটা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই কংগ্রেস। এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাহী সভা। সেই সভায় নারী সাফের সময়সূচি নির্ধারণ হতে পারে, ‘নেপাল আগস্টের শেষ সপ্তাহ অথবা অক্টোবরে পূজার পর টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চেয়েছে। এই বিষয়টি নির্বাহী সভায় নির্ধারিত হবে। এছাড়া কিছু গঠনতান্ত্রিক অনুমোদন ও আনুষ্ঠানিকতার বিষয় রয়েছে।’