সালমান খান সবসময়ই ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। তাকে নিয়ে যেন আলোচনার শেষ নেই। পর্দায় যিনি দুষ্টের দমন করে শিষ্টের পালন করেন, দর্শকদের ভালো থাকা ও রাখার বার্তা দেন সেই তিনিই কিনা একসময় আত্মহত্যা করতে চাইতেন! মূলত ‘আত্মহত্যার রোগ’-এর শিকার হয়েছিলেন বলিউড ‘ভাইজান’। নিজের মুখেই প্রকাশ্যে সে কথা জানিয়েছিলেন।
দুর্দান্ত অভিনয়ের পাশাপাশি পেশীবহুল পুরুষালি চেহারার অবিসংবাদিত ‘পোস্টার বয়’ সালমান খান। মধ্যে পঞ্চাশ পেরিয়েও তার ফিটনেস দেখে চোখ কপালে ওঠে। নিজের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে বরাবরই সচেতন এই তারকা। সেই তিনিই কেন করতে চাইতেন আত্মহত্যা?
আসলে ‘ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া’ নামে নার্ভের এক রোগে ভুগেছিলেন সালমান। এই রোগটিকেই ‘আত্মহত্যার রোগ’ বলা হয়। কারণ এই রোগে এতটাই যন্ত্রণার শিকার হন রোগী যে একসময় তার মনে হয় আত্মহত্যাই হয়ত একমাত্র মুক্তির পথ।
এই রোগের পর সালমান-এর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। দুবাইয়ে ‘টিউবলাইট’ সিনেমার ‘রেডিও’ গানটি প্রকাশের অনুষ্ঠানে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান তিনি। রোগটি নিয়ে যেন সচেতনতা বাড়ে সেই উদ্দেশেই জনসমক্ষে সেই কথা তুলে ধরেন ‘ভাইজান’।
সালমান জানিয়েছিলেন, ‘এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সারা মুখ জুড়ে অসহ্য যন্ত্রণা হতো। ঠিকমতো মুখ খুলতে পারতাম না। কথা বলতে পারতাম না ভালোভাবে, জড়িয়ে যেত। গলার স্বর ভেঙে গিয়েছিল। সবাই ভাবতে শুরু করেছিল আমার বুঝি মদ্যপান করে এই অবস্থা হয়েছে। অথচ রমজানের সময়ে আমি মদ্যপান করি না।’
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে সালমানের হাতে রয়েছে একগুচ্ছ সিনেমা। চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে তার অভিনীত ‘কাভি ইদ কাভি দিওয়ালি’ এবং আগামী বছর ইদে (২১ এপ্রিল) মুক্তি পাবে ‘টাইগার থ্রি’। এই সিনেমায় বরাবরের মতো জুটি হয়েছেন সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ।