শপথ গ্রহণের দিন থেকেই অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইতোমধ্যে কয়েক অভিবাসীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। খবর তাসের।
টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন প্রশাসনের হাতে আটক ৫ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর জন্য মার্কিন সেনাবাহিনী বিমান সরবরাহ করছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ফ্লাইট শুরু হয়েছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার দুটি সামরিক বিমানের একেকটিতে ৮০ জন করে অভিবাসীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুয়াতেমালায়।
অভিবাসী ফেরানোর কর্মসূচির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন দক্ষিণের সীমান্তে আরো সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এর মধ্যে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এলিট ৮২ এয়ারবোর্ন ডিভিশনের সেনারাও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সীমান্ত নিরাপত্তায় দায়িত্ব দেন মার্কিন সেনাবাহিনীকে।
অবৈধ অভিবাসীদের বসবাসের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আমেরিকায় জন্ম নেয়া শিশুদের নাগরিকত্ব সীমিত করার পদক্ষেপ নেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারিতে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেয়ার পরই পেন্টাগনকে দক্ষিণ সীমান্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য যতজন প্রয়োজন তত সংখ্যক সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে মেক্সিকো সীমান্তে দ্বিতীয় ধাপের সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী।
যার মধ্যে সম্ভবত ৮২তম এয়ারবোর্নের সেনারাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অতিরিক্ত সেনা সংখ্যা হাজার হতে পারে, তবে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি।