সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তারের ধারায় এবার ধরা হয়েছে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী এবং মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে।
শনিবার রাতে ঢাকার ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। র্যাবের পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, হাতিরঝিল থানার নিউ ইস্কাটন এলাকার ৩৯৮ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ফ্ল্যাটটির মালিক কে, সে সম্পর্কে তথ্য দেয়নি র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, “৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় তিনটি এবং ঢাকার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। “তাকে আমরা আদাবর থানার মামলায় হস্তান্তর করেছি।”
ফরহাদ হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগের সরকারে একই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেহেরপুর-১ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি।
মেহেরপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ফরহাদের প্রয়াত পিতা মোহাম্মদ সহিউদ্দিন বিশ্বাস, যিনি ১৯৭০ সালে মেহেরপুর থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠকও ছিলেন সহিউদ্দিন, যিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা।
এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ ২৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।