আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে বিদ্যুৎ নিয়ে কথা মানায় না। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে দেশের জনগণের টাকা লুটপাটের মহোৎসব চালিয়েছিল; তখন বিদ্যুৎখাতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। তাদের দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে অর্থায়ন বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক। ১৯৯৬- ২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ২শ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল। অথচ পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার ১০০শ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময় দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। বিদ্যুতের পরিবর্তে শুধু খাম্বা স্থাপন করে দেশবাসীর সঙ্গে তামাশা করা হয়েছিল। বিএনপি এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। উল্টো ৫ বছরে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল। সেখানে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কল্যাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৯ হাজার ৭শ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে ভগবান জ্ঞান করে রাজনীতি করছে। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, তারা জনগণের ক্ষমতায়নেও বিশ্বাস করে না। তাদের নির্ভরতা কেবলমাত্র বিদেশি শক্তির ওপর। সে কারণে বিএনপি বিপুল অর্থ ব্যয় করে লবিষ্ট নিয়োগের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী অপপ্রচার ও প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে আসছে। বিপরীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনকল্যাণের রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির গতিপথ নির্ণীত হয়।