নেতিবাচক চরিত্র দিয়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন ঢালিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা সাদেক বাচ্চু। তবে জীবনের শেষ বছরগুলোতে অভিনয়ে অনিয়মিত ছিলেন তিনি। আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) এই অভিনেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২০ সালের এই দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুবার্ষিকীতে এই অভিনেতাকে স্মরণ করেছেন তার ভক্ত-সহকর্মীরা।
তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চিত্রনায়ক ও বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান লিখেছেন, ‘গত বছর ঠিক এই দিনে করোনার কাছে হেরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন অভিনেতা সাদেক বাচ্চু ভাই। সাথে থেকে গোসল করিয়ে দাফন সম্পন্ন করেছিলাম। অমায়িক মানুষ ছিলেন তিনি। আজ তাকে হারানোর ১ম বছর, তার আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি।
সাদেক বাচ্চুর আসল নাম মাহবুব আহমেদ সাদেক। ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কর্মজীবনের দীর্ঘ ৩৩ বছর ডাক বিভাগের কর্মরত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন অভিনয়ে। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমা সব মাধ্যমেই দারুণ অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছিলেন তিনি।
নব্বই দশকে এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’ সিনেমায় অভিনয়ের পর দেশজুড়ে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সাদেক বাচ্চুর। সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’, ‘জীবননদীর তীরে’, ‘ঢাকা টু বোম্বে’, ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, ‘এক জবান’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘বধূবরণ’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘প্রিয়জন’, ‘সুজন সখি’, ‘বিদ্রোহী, ‘এক পৃথিবী প্রেম’, ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’, ‘পিতা মাতার আমানত’ ইত্যাদি।