দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শীতের সকালে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। অবশ্য যারা কেন্দ্রে এসেছেন তারা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে।
এদিকে ঢাকার ভোটকেন্দ্রগুলোর কোথাও কোথাও ভোটারদের লাইন দেখা গেলেও, কোথাও আবার ফাঁকা দেখা যাচ্ছে ভোটকেন্দ্র।
ঢাকার একাধিক আসনে কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকালের দিকে বেশিরভাগ কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের আনাগোনা কম। আবার ঢাকা-৯ আসনের একাধিক কেন্দ্রে ভোটারদের ভালো উপস্থিতি দেখা গেছে।
খিলগাঁও গার্লস স্কুল কেন্দ্রে দেখা গেছে, ভোটারদের বেশ লাইন রয়েছে। বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছেন।
ভোট দিতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, সকালের দিকে ভোট শেষ করে ফেললে ভালো। ঝামেলা কম হয়। সময় বাড়লে আরও বাড়বে ভোটার।
তবে ভোটার উপস্থিতি যাই হোক, কেন্দ্রের বাইরে অনেক মানুষের জটলা দেখা গেছে। যাদের মধ্যে নৌকার প্রার্থীর পক্ষের লোকজনই বেশি দেখা গেছে।
সকাল ৮ টা ৫০মিনিটে মোহম্মদপুর বাদশা ফয়সাল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে দেখা গেছে সাংবাদিকদের দেখে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছেন। এই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এদিকে, সাতসকালে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান তারা।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকা- ৬ ও ঢাকা-৭ আসনের কেন্দ্রেও ভোটারদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
অবশ্য কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া প্রহরা দেখা গেছে সর্বত্র।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।
ভোট গ্রহণের জন্য ১৬ লাখ লোক ভোটের কাজে নিয়োজিত আছেন। এতে আট লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা আর প্রায় আট লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।