তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ডিবি কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় মামলার কিছু নথি নষ্ট হয়ে গেছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, মামলার তদন্ত এখনো চলমান এবং এটি শেষ করতে আরও সময় প্রয়োজন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৯ মাস সময় চাওয়া হলেও আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি শুরুতে শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা তদন্ত করেন। এরপর দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবিকে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)। কিন্তু এত বছর পরও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।
মামলার বাদী পক্ষের পক্ষে ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ২০১২ সালে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন জনস্বার্থে রিট করলে হাইকোর্ট সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না— এই মর্মে রুল জারি করেন।