পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দুই দলের মাঠের লড়াই শুরু হবে একমাত্র টেস্ট দিয়ে। আগামী ৭ জুলাই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে নামার আগে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে সফরকারীরা। যেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে একাদশ। মূল ম্যাচের আগে গা গরম ম্যাচে প্রস্তুতি পর্বটা ভালোভাবেই সেরে নিলেন সাকিব আল হাসান, সাইফ হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলামরা।
দুই দলের দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু হয় গতকাল অর্থাৎ ৩ জুলাই। এদিন আগে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩১৩ রান তোলে বাংলাদেশ দল। ওপেনার সাদমান ইসলাম রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হলেও ফিফটি তুলে নেন সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পরে বাকি ব্যাটসম্যানদের সুযোগ করে দিতে স্বেচ্ছায় অবসরে যান তারা। দীর্ঘদিন রান খরায় ভোগা সাকিবও অর্ধশতকের দেখা পান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান স্বেচ্ছায় অবসরে যান ৭৪ রান করে। অধিনায়ক মুমিনুল হক, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও রানের দেখা পেয়েছেন।
প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে আজ (রোববার) আর ব্যাটিংয়ে নামেনি সফরকারীরা। বোলারদের প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ করে দিতে ইনিংস ঘোষণা করেন মুমিনুল। এদিন বল হাতেও বাজিমাত সাকিবের। বাঁহাতি স্পিনে একাই নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৩ উইকেট। মিরাজও সাকিবের পথে হেঁটে ৩ উইকেট দখল করেন। আরেক স্পিনার নাঈম হাসান অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে উইকেট শূন্য তিনি। পেসাররাও দাপট দেখাতে পারেননি সেভাবে। শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট ও তাসকিন আহমেদ এবং এবাদত হোসেন নেন ১টি করে উইকেট। আবু জায়েদ রাহী সাফল্যের খোঁজ পাননি।
এদিন জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থামে ২০২ রানে। ৭৫ ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে একাদশ। দলের হয়ে টিমিসেন মারুমা সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি টেস্ট দলের মূল স্কোয়াডেও আছেন।
দিনের খেলা বাকি থাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ দল। আগের ইনিংসে ব্যাট করতে না নামলেও এবার ম্যাচের আবহে নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ ছাড়েননি তামিম ইকবাল। সতীর্থ ইয়াসিন আলী রাব্বির জার্সি গায়ে চাপিয়েই ব্যাট করতে আসেন তামিম, সঙ্গে সাদমান ইসলাম। পরে ৭ ওভার ১ বল ব্যাটিং করেন দুজন। যেখানে ৩০ বল মোকাবেলায় ১৮ রান করে মাঠ ছাড়েন তামিম, ৪টি চার মারেন তিনি। সাদমান অপরাজিত থাকেন ৪ রান করে।