কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা হয়ে গেছে গত ১০ মার্চই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তিন ফরম্যাটের আলাদা চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন মোট ২১ জন ক্রিকেটার।
তবে জাতীয় দল আর ক্লাব ক্রিকেটের ব্যস্ততার কারণে ক্রিকেটাররা এতদিন চুক্তিপত্রে সই করার সুযোগ পাননি। অবশেষে আজ (বুধবার) বিসিবির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সম্পাদন করেছেন তারা।
আজ সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। তিনিও বিসিবিতে উপস্থিত ছিলেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে। সাকিবের সঙ্গে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদসহ ১৮ জন ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন।
আইপিএলে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া ব্যক্তিগত কারণে আরও দুজন ক্রিকেটার অনুপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপরারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আজকে সবাইকে একসাথে ডেকেছিলাম চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য। সেজন্যই সবাই এসেছিল, কয়েকজন আসতে পারেনি ব্যক্তিগত কারণে। অলমোস্ট ১৭-১৮ জন ছিল, আমরা সবাই একসাথে বসছিলাম। অনেকেই প্রিমিয়ার লিগে ব্যস্ত ছিল, একসাথে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা বসে নিজেদের মধ্যে খেলা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি হয়েছে কোন ক্রিকেটার কোন ফরম্যাটে খেলতে চান, তার ওপর প্রাধান্য দিয়ে। তবে জালাল ইউনুস মনে করছেন, কে কোন ফরম্যাটে খেলবে, সেটা বোর্ড থেকে ঠিক করে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো চাই খেলোয়াড়রা চুক্তি অনুযায়ী খেলুক। অনেকেই ব্যক্তিগত কারণে খেলতে পারে না, সেটা ভিন্ন জিনিস। তখন আমরা অন্য দৃষ্টিতে দেখব। আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে যে খেলোয়াড়দের বলতে পারি তোমাকে এই ফরম্যাটে চাই আমরা। এটা আমরা বলতে পারি, তখন সে বলতে পারে এভেইলবল কি না। কিন্তু খেলোয়াড়রা কোন ফরম্যাটে খেলবে সেটা আমরা বোর্ড থেকে বলতে চাই।’
এবার তিন ফরম্যাটেরই চুক্তিতে আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম।
শুধু টেস্টে ১৪ জন, ওয়ানডেতে ১০ জন এবং টি-টোয়েন্টিতে আছেন ১২ জন। এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত।