ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলে দেশে ফিরেছেন সাকিব আর মুস্তাফিজ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন দুজনই। সাকিব ওঠেছেন রাজধানী গুলশানের এক হোটেলে। একই বিমানে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সস্ত্রীক মুস্তাফিজ আছেন কারওয়ান বাজারের একটি পাঁচতারকা হোটেলে।
আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে এই দুই ক্রিকেটারের কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া শিথিল করতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি।
এ প্রসঙ্গে আজ (শনিবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এটা কিন্তু বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কেউ না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অন্যান্য স্পোর্টস ইভেন্ট যাই বলেন একটা আলাদা প্রোটোকল আছে। এখন আমাদের দেশে কিংবা যেকোনো জায়গায় যে কোভিড প্রোটোকল আছে এটা কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষের জন্য বলতে আমি বলছি যারা সাধারণ যাত্রী তারা একটা টেস্ট নেগেটিভ হয়েই আসছেন।’
সঙ্গে যোগ করেন সুজন, ‘এরপর সরকারের যে নিয়ম সে অনুসারে তারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মেইনটেইন করছেন। এরপর কিন্তু এরমধ্যে আর করোনা টেস্ট করাচ্ছেন না। তবে আমাদের যে স্পোর্টস ইভেন্টে, যারা অংশগ্রহণ করছে তারা একটা প্রোটোকলের মধ্যে। দেখা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের কয়েকবার করোনা টেস্ট হচ্ছে, নেগেটিভ হলেই তারা ইভেন্টে অংশ নিতে পারছেন। এটা কিন্তু সব জায়গায় হয়ে আসছে।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহীর ভাষ্যমতে, বিদেশ ফেরত আর সকলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের মেলানো উচিৎ নয়। কারণ, খেলোয়াড়রা দেশের বাইরে থেকে ফিরলেও তারা জৈব সুরক্ষা বলের মধ্যে থাকেন। এদিকে আইপিএল থেকে দেশে ফেরা সাকিবের প্রথম করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। নিজামউদ্দিন মনে করেন, সাকিব-মুস্তাফিজ ইস্যুতে সরকারের সাহায্য পাবে ক্রিকেট বোর্ড।
নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আপনারা জানেন নিউজিল্যান্ড কতটা নিরাপদ ছিল, সেখানেও কিন্তু কোয়ারেন্টাইন ছাড়া অনুমতি মেলেনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ একটা সিরিজ খেলে এসেছে। সেক্ষেত্রে একটা ইভেন্টে যারা অংশ নেয় তাদের আর সাধারণ জনগণের প্রোটোকল এক হওয়ার কথা না। এখানে আমাদের একটা জটিলতা হচ্ছে, আশা করি খুব শিগগিরই আমরা এটি মিনিমাইজ করে নিতে পারব।’