একে তো লো স্কোরিং ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে কেবল ১০৫ রানের। এত কম রান নিয়েও জেতা যায়? তাও অস্ট্রেলিয়ার মত দলের কিপক্ষে! যদিও আগের তিন ম্যাচ আশা জাগিয়েছিল। হয়তো বা অসিদের চেপে ধরতে পারলে জয়টা সম্ভব হলেও হতে পারে।
সবচেয়ে বড় আশা ছিল, উইকেটটা ছিল স্লো। মন্থর গতির। এই উইকেটে ১০৫ রানও অসিদের জন্য বিশাল কিছু। সে লক্ষ্যে বোলাররা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছেও। অসিদের সাতটি উইকেটের বিদায় ঘটিয়েছিল। তবুও শেষ পর্যন্ত হার ৩ উইকেটের ব্যবধানে। ১ ওভার হাতে রেখে তার জয়ের বন্দরে।
১০৫ রানের লক্ষ্য যেখনে, সেখানে শুরুতেই অসিরা এক ওভার থেকে সংগ্রহ করেছে ৩০ রান। বোলার আর কেউ নন, সাকিব আল হাসান। তার এক ওভার থেকেই ৫টি ছক্কার মার মেরেছেন অসি অলরাউন্ডার ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান।
৪র্থ ওভারের বল করতে এসেছিলেন সাকিব। ততক্ষণে অসিদের একজন ওপেনারকে বিদায় করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক ম্যাথ্যু ওয়েডকে সাজঘরের রাস্তা দেখান শেখ মাহদি। এমন পরিস্থিতিতে ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামেন ক্রিশ্চিয়ান। সাকিবের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি লুজ বল পেলেন তিনি। টানা তিনটি ছক্কা মেরে মাঝে একটি বল ক্ষান্ত দেন। এরপর টানা দুটি ছক্কার মার মারেন ক্রিশ্চিয়ান। ৫ ছক্কা থেকে এলো ৩০ রান।
৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৫ রান থেকে শুরু করে পুরোপুরি স্লো উইকেটে ৪র্থ ওভার শেষে অসিদের রান হয়ে গেলো ৪৫। যেখানে ব্যাটসম্যানদের রান তুলতেই মাথাকুটে মরতে হচ্ছিল, একের পর এক নাভিশ্বাস উঠছিল, সেখানে এক ওভারেই ৩০ রান। ম্যাচটা ওখানেই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। অসিরা ম্যাচ পকেটে পুরে নিয়েছিল।
তবুও মোস্তাফিজ, মাহদি, শরিফুল কিংবা নাসুম আহমেদরা চেষ্টা করেছিলেন। অসিদের চেপে ধরে আরও ৬টি উইকেটের পতন ঘটান তারা। কিন্তু সেই যে এক ওভারে ৩০ রান উঠলো, সে কারণেই শেষ পর্যন্ত জিতে গেলো অস্ট্রেলিয়া। পুরো ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টই ওই একটি ওভার। সাকিব পুরো ৪ ওভার বল করে দিলেন ৫০ রান। উইকেট পাননি একটিও।